২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক বলে মন্তব্য করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যে বাজেট দেওয়া হয়েছে তাতে করোনা ভাইরাসের কারণে নজিরবিহীন ও বহুমুখী সংকটের প্রতিআফলন হয়নি। স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সৃজনশীল কোন পদক্ষেপও দেখা যায়নি। এ সময়ে যেসব খাতকে যেভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার দরকার সেভাবে দেওয়া হয়নি। সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির মোহ থেকে বের হতে পারছে না। এখন এ দর্শন থেকে সরে এসে মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য কাজ করার দরকার ছিল। শুক্রবার প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
\এতে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আরো পড়ুন : ডিএনসিসির ১৪৭টি স্থাপনায় মিললো এডিসের লার্ভা সিপিডির বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন হয়নি। কারণ, সম্পদ আহরণ থেকে সম্পদ ব্যয়ের যেসব প্রস্তাব আমরা দেখেছি তাতে এটা অন্য সময়ের মত মনে হয়েছে। বাজেট দেখে মনে হয়েছে যে, করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফেরত যাবে। কিন্তু বর্তমানে যে স্বাস্থ্যঝুঁকি আমরা দেখছি তাতে এত দ্রুত এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে চিন্তার তেমন কোন কারণ নেই। তবে চিন্তা রাজস্ব আদায় নিয়ে। বাস্তবতা থেকে বাইরে থেকে এ চিন্তা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি বছরে রাজস্ব আহরণ হবে ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে এটা বাস্তবায়ন প্রশ্নবিদ্ধ। ইত্তেফাক/ইউবি