নেত্রকোনায় দুই স্ত্রী রেখে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিলেন শ্রমিক লীগ নেতা!
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২০, ০০:০৮
দুই স্ত্রীকে রেখে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে করেছেন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আলাল সর্দার। তার বিরুদ্ধে খুন, মারধরসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কাওসার মিয়া নামের ওই প্রবাসীর বড় ভাই লাক মিয়া গত মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান। সম্পর্কিত খবর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদকঘরের আড়ায় ঝুলন্ত স্বামীর লাশ, বিছানায় স্ত্রীরটাচ মোবাইল কিনে না দেওয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা জানা যায়, বাবা-মায়ের পছন্দে উপজেলার কাকৈরগড়া গ্রামের মনি আক্তারকে (২৫) বিয়ে করেন কাওসার। বিয়ের প্রায় এক বছর পর সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব চলে যান কাওসার। বিদেশ যাওয়ার পরই তাদের সংসারে মহতাসিন বিল্লাহ নামের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়।
কাওসারের স্ত্রী মনি আক্তার স্থানীয় একটি কলেজে বিএ অধ্যয়নরত হওয়ায় তার সন্তানসহ শাশুড়িকে দিয়ে দুর্গাপুর পৌর শহরে বাসা ভাড়া করে থাকার সুযোগ করে দেন কাওসার। সেখানে কাওসারের স্ত্রী একা থাকায় শ্রমিক লীগ নেতা আলাল সর্দারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে কাওসারের স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে করেন আলাল সর্দার। কাওসার মিয়া জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে দুর্গাপুর পৌর শহরের পৌর শ্রমিক লীগ সভাপতি আলাল সর্দারের পরকীয়া প্রেম ছিল। তার স্ত্রী বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ওই শ্রমিক নেতার সঙ্গে ভেগে গিয়েছেন।
অভিযোগকারি লাক মিয়া বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার বাবা দুর্গাপুর কাওসারের বউকে দেখতে আসলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এ ঘটনার দুদিন পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আমার ছোট বোন ও তার আত্মীয়রা কাওসারের ছেলেকে দেখতে গেলে তাদের জীবননাশের হুমকি দেওয়াসহ বিদেশে থাকা আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন আলাল সর্দার।