দীর্ঘদিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় বন্দর এলাকায় ফিরেছে কর্ম প্রাণচঞ্চলতা। সেই সাথে বন্দর এলাকায় আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার-পত্র। আমদানি-রফতানি শুরুর গত তিন দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে হিলি কাস্টমস। এদিকে সব প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বলছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে দুই দেশের মাঝে বাণিজ্য কার্যক্রম। বন্দরে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ, বাদাম, জিরাসহ নানা খাদ্যপণ্য অন্যদিকে রফতানি হচ্ছে রাইজ ব্যান্ড ওয়েল। এদিকে বন্দরে আড়তগুলোতে ফিরেছে কর্মপ্রাণচঞ্চলতা।
অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে এসব আড়তে কর্মরত কর্মচারী ও শ্রমিকদের। হিলি কাস্টমস সহকারি কমিশরার আব্দুল হান্নান জানান, করোনা মহামারীর কারণে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল ২ মাস ১২ দিন। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছ ৭৫ কোটি টাকা। তবে গত ৮ জুন থেকে আমদানি- রফতানি শুরু হয়েছে সীমিত আকারে। এতে গত তিন দিনে ভারতীয় ১৮৯ ট্রাকে জিরা, বাদাম পেঁয়াজসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানি হয়েছে যা থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বলেন, এভাবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে সরকারের রাজস্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। বন্দরের কাঁচামাল আমদানিকারক নাজমুল চৌধুরী বলেন, বছরে ৬ মাস পেঁয়াজ, আদা, রশুনসহ অন্যান্য পণ্যের বেশ চাহিদা থাকায় বাজারে দামও বৃদ্ধি পায়। বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে প্রতিবছর আমদানি করা হলেও এবার করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে ব্যাবসায়ীদের। যেহেতু এটা শুরু হয়েছে এভাবে চলমান থাকলে আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি বাড়বে সরকারে রাজস্ব।