নাটোরে নির্যাতিতা এক গৃহবধূকে সালিশ বৈঠকে এক লাখ জরিমানা করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম প্রধানরা। একই সঙ্গে ওই গৃহবধূর বাবা সালিশে আসতে দেরি করায় তাকেও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ জুন) দিনগত রাতে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। আর চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এদিকে ওই সালিশ বৈঠকে গৃহবধূকে লাখ টাকা জরিমানা করার ঘটনায় রুহুল আমিন ও সোবহান আলী নামে দুই গ্রাম প্রধানকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল নায়ক তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ওমর আলী প্রধান আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, গত ২৯ মে রাতে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন অমর কুমার (২২) নামে এক তরুণ। ঘটনার সময় তাকে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ৩০ মে থানায় অমর কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ওই গৃহবধূ। পরে ওই মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।