খুলনার ডুমুরিয়ায় স্কুল পড়ুয়া বেয়াইনকে নিয়ে উধাও হয়ে বিপাকে পড়েছেন আপন বেয়াই আল হেলাল। তাদের বিয়ে হয়েছে দাবি করে কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পেরে পড়েছেন আরো বিপাকে। একে তো বেয়াইনের এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। তারপর ধর্ষণ করা হয়েছে কি-না তা ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বেয়াইনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বেয়াইনের পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ মামলার পর আল হেলালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বোরবার রাতে যশোরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে বেয়াইনকেও উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত আল হেলাল যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার শহিদুল্লাহপুর গ্রামের ফেরদাউস খানের ছেলে। বেয়াইনের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার আরাজি গ্রামে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তারা সম্পর্কে আপন বেয়াই-বেয়াইন।
ডুমুরিয়া থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ২০ থেকে ২৫ দিন আগে ওই মেয়েটিকে তার আপন বেয়াই অপহরণ করে নিয়ে যায়। রোববারে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সেসঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তবে ছেলেটি জানাচ্ছে তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। তাছাড়া মেয়েটির এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। অপহরণের সময়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি-না তা ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।