বাস টার্মিনালে কম উঠিয়ে পথে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, লঞ্চেও নেই শারীরিক দূরত্ব
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২০, ১৮:০১
বরিশালে লঞ্চ-বাসে শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। টার্মিনাল থেকে বাসে শারীরিক দূরত্ব মেনে প্রতি দুই সিটে একজন যাত্রী নেয়া হলেও মাঝ পথে বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। অথচ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে নতুন বর্ধিত হারে।
এছাড়া জীবাণুনাশক স্প্রে-সহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারেরও বালাই নেই বাসে। লঞ্চেও মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নেই লঞ্চে।
এদিকে, লঞ্চ-বাসে শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় রবিবার বরিশালে পৃথক ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর দুটি বাস টার্মিনাল এবং নদী বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। তারা পরিবহন শ্রমিক এবং যাত্রীদের সচেতন করছেন। অনেকের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন আইনি ব্যবস্থা। গত পহেলা জুন যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরুর প্রথমদিকে শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কিছুটা সতর্ক ছিল পরিবহন কোম্পানিগুলো। তারা বাসের বাইরে এবং ভেতরের সিটে জীবাণুনাশক স্প্রে-সহ শারীরিক দূরত্ব রক্ষায় প্রতি ২ সিটে একজন করে যাত্রী পরিবহন করে। তবে দিন দিন শিথিল হয়ে যাচ্ছে সব কিছু। বাসগুলো টার্মিনাল থেকে শারীরিক দূরত্ব রক্ষায় প্রতি দুই সিটে একজন যাত্রী নিলেও মাঝপথে বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী উঠাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে শারীরিক দূরত্ব রক্ষা হচ্ছে না। অথচ যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে নতুন বর্ধিত ভাড়া। এছাড়া জীবাণুনাশক কার্যক্রমও নেই বললেই চলে।
এদিকে, বরিশালের স্থানীয় এবং দূরপাল্লার লঞ্চেও শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অনেক যাত্রীর ফেস মাস্কও নেই। তবে লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নেই।