ঢাকা: প্রাণঘাতী ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এবার ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ পরিকল্পনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। যেসব স্থানে এই মশার প্রজননস্থল পাওয়া যাবে সেসব স্থানের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সংরক্ষিত হবে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে। চিরুনি অভিযান শেষে তৈরি ডাটাবেজ সহায়তা করবে ভবিষ্যৎ মনিটরিংয়ে।শনিবার (৬ জুন) থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। শুক্রবার ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হবে এই অভিযান।
চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে বলে জানায় ডিএনসিসি। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০দিনে সমগ্র ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি সাব-সেক্টরে ডিএনসিসির চার জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন মশক নিধনকর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশককর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কি না কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কি না কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কি না, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করবেন। আর থেকে থাকলে সেই তথ্য সংরক্ষণ করা হবে অ্যাপে।
সেসব স্থাপনার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি হবে দাবি কর্পোরেশনের। ডাটাবেজ অনুযায়ী পরবর্তীতেও তাদের মনিটর করা সহজ হবে। অ্যাপটি তৈরি করেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম।