বদহজমের এই ওষুধটি করোনার হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণ কমায়!

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২০, ১২:২৩

করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে জোর প্রচেষ্টা। এরই মধ্যে হজমের ওষুধ করোনা চিকিৎসায় সুফল দেবে বলে বলছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। স্বল্পমূল্যের বদহজমের ওষুধ ফ্যামোটিডিন খাওয়ার ফলেই মুক্তি মিলবে করোনা থেকে। জার্নাল গাটে প্রকাশিত হয়েছে এ তথ্য। গবেষকরা বলছেন ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই করোনার রোগীর শরীরে কার্যকারিতা দেখা গেছে ফ্যামোটিডিনের। ফ্যামোটিডিন (পেপসিড এসি) হিস্টামাইন -২ রিসেপ্টর বিরোধী হিসাবে পরিচিত ড্রাগগুলির একটি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, যা পেটের অ্যাসিডের পরিমাণ হ্রাস করে।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং পেট জ্বালাপোড়ার চিকিৎসার জন্য  ফ্যামোটিডিন ২০ থেকে ১৬০ মিলিগ্রাম দিনে চারবার পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। গবেষণায় যে ১০ জন ব্যক্তি ( ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা) নিয়ে কাজ করা হয়েছে তাদের সবাই করোনা আক্রান্ত এবং সবাই ফ্যামোটিডিন গ্রহণ করেছেন। রোগীদের মধ্যে সাতজন কোভিড -১৯ এর জন্য সোয়াব টেস্ট ব্যবহার করে পরীক্ষা করেছেন, দুজনের সংক্রমণে অ্যান্টিবডি ছিল; এবং একজন রোগীর পরীক্ষা করা হয়নি তবে ডাক্তার দ্বারা সংক্রমণটি সনাক্ত করা হয়েছিল। তাদের সবার বয়স ২৩ থেকে ৭১ এবং তাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা সহ বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা ছিল। যখন তাদের শরীর খুব বেশি খারাপ হয় তখন তারা ফ্যামোটিডিন গ্রহণ শুরু করে।

সর্বাধিক ব্যবহৃত ডোজটি ছিল ৮০ মিলিগ্রাম যা প্রতিদিন তিনবার নেওয়া হয়, গড় চিকিত্সার সময়কাল ১১ দিন স্থায়ী হয়। সব রোগী বলছে  যে ফ্যামোটিডাইন শুরু হওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে  লক্ষণগুলি দ্রুত উন্নতি হয় এবং বেশিরভাগ ১৪ দিনের পরে এটি ঠিক হয়ে যায়।  সমস্ত লক্ষণেরই উন্নতি ছিল তবে  শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি যেমন কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদির দ্রুত উন্নতি ঘটেছে। ফ্যামোটিডিন গ্রহণ করার সময়  সাতজন রোগী কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেননি, এবং তিনজনে যারা করেছেন, সেগুলোও কম ছিল। ফ্যামোটিডিন সাধারণ বদহজম সারানোর ওষুধ। একেকটা মাত্র ৩০–‌৪০ পয়সা। ভারতে বিক্রি হয় ‘‌ফ্যামোসিড’‌, আর যুক্তরাষ্ট্রে ‘‌পেপসিড’‌ নামে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us