আজম খান: দুর্ধর্ষ গেরিলা থেকে পপ গুরু

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২০, ১০:০০

ছেলেটি তার বয়সী অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা। লিকলিকে গড়ন, গড়পড়তা বাঙালি তরুণদের চেয়ে দীর্ঘদেহী। অন্য রকম এক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। না, মোটেও রাশভারী নয়, বরং উল্টো। অফুরন্ত প্রাণশক্তি, বন্ধু-অন্তঃপ্রাণ, আড্ডার মধ্যমণি। সারা দিন হইহুল্লোড় আর বন্ধুদের নিয়ে গলা ছেড়ে গান। ’৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন যখন দানা বাঁধতে শুরু করে, তখন ওই কিশোর ছেলের বুকেও দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার আগুন। সুরের মূর্ছনায় মানুষকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করে নিজেকে। বলছি কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী আজম খানের কথা।

১৯৬৮ সালে, তাঁর বয়স যখন ১৮, যোগ দেন গণসংগীত শিল্পীগোষ্ঠী ‘ক্রান্তি’র সঙ্গে। ১৯৬৯–এ গণ–অভ্যুত্থানে ছিলেন সামনের সারিতে। সংগত কারণেই পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর চক্ষুশূল ছিলেন তাঁরা। এ সময়ে নানা রকম বাধা ও হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের।

১৯৭১–এর ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং তৎপরবর্তী সময়ে তাদের অত্যাচার-নির্যাতন আজম খানকে করে বিক্ষুব্ধ। সিদ্ধান্ত নেন যুদ্ধে যাবেন তিনি। মাকে কথাটা বলতেই মা বললেন বাবার সঙ্গে কথা বলার জন্য। ভয়ে ভয়ে বাবার কাছে অনুমতি চাইলেন আজম। কথাটা শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন সরকারি কর্মকর্তা আজম খানের বাবা। তিনি ভেবেছিলেন বাবা হয়তো ‘না’ বলবেন। কিন্তু আজম খানকে অবাক করে দিয়ে তাঁর বাবা বললেন, ‘যুদ্ধে যাচ্ছিস যা, দেশ স্বাধীন না করে ফিরবি না।’ নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আজম!
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us