জুন থেকে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা রুবানা হকের

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২০, ১৫:২৫

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বে ভোক্তার চাহিদা কমে যাচ্ছে। দেশের পোশাক কারখানার কাজও ৫৫ শতাংশ কমেছে। এমন অবস্থায় ১ জুন থেকে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছেন পোশাক কারখানা মালিকদের বড় সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) শ্রমিকদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য দেশের প্রথম স্টেট অব দ্য আর্ট কোভিড-১৯ ল্যাব উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘জুন থেকে শ্রমিকদের ছাঁটাই হবে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতা। কিন্তু করার কিছু নেই। কারণ শতকরা ৫৫ শতাংশ ক্যাপাসিটিতে ফ্যাক্টরি চলছে। আমাদের ছাঁটাই ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তবে এ ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় শ্রমিকদের জন্য কী করা হবে; এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলছি, কীভাবে এ সংকট মোকাবিলা করা যায়। তবে এ অবস্থা হঠাৎ করে বদলেও যেতে পারে। তখন ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকরাই কাজে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাবের সময়ে প্রায় ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ শতাংশ ফেরত আসছে। তবে যারা ফেরত এসেছে তারা আবার বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছে।’

‘বিশ্বে ভোক্তার চাহিদা কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থা বলছে, আগামীতে ৬৫ শতাংশ চাহিদা কমে যাবে। তাই পোশাকের চাহিদা বাড়ার তেমন সম্ভাবনা কম। দেশের পোশাক কারখানায়ও ৫৫ শতাংশ কমে যাবে। ৪২ হাজার কোটি টাকা মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ক্ষতি হবে। করোনায় দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানার ৫৫ শতাংশ ক্যাপাসিটি দিয়ে চালাতে হবে। জুনে কারখানাগুলোতে ৩০ শতাংশ কাজ হবে। জুলাইতে কী হবে বলা যাচ্ছে না। আমাদের বড় ধাক্কা খেতে হবে। এটি অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। বিজিএমইএ অন্তর্ভুক্ত কারখানা ছিল ২২৭৪টি, এখন ১৯২৬টি চলছে। তার মানে বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে।’

তবে করোনা বিস্তারের সময়ে চলতি অর্থবছরে পোশাকখাতে রফতারি আয় কমলেও সেটা ২৩ বিলিয়ন হবে বলে প্রত্যাশা করেন পোশাক কারখানা মালিকদের এ নেতা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us