কফিনসহ মৃতদেহের গোপনাঙ্গও স্বর্ণে মুড়িয়ে সমাধি দেয়া হয়!

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২০, ১১:৩১

বুলগেরিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিকরা ১৯৭০ এর দশকে স্বর্ণের হস্তনির্মিত এক বস্তুর সন্ধান পায়। খ্রিষ্টপূর্ব পাঁচ হাজার বছর পূর্বের তাম্রযুগের সমাধিস্থল থেকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা ওই স্বর্ণের বস্তুটির সন্ধান পায়।  প্রত্নতত্ত্ববিদরা যদিও নির্দিষ্ট ওই সমাধিস্থল থেকে স্বর্ণের মূল্যবান বস্তুর সন্ধান পাবেন বলে আশা করেননি। ধারণা করা হয়, সমাধিটি ছিল একজন উচ্চ শ্রেণির পুরুষের। যার মৃতদেহের সঙ্গে স্বর্ণ এবং মূল্যবান ধনসম্পদও ছিল। সে সময় সমাধিস্থলটিতে অন্যান্য যে কোনো স্থান থেকে বেশি স্বর্ণ ছিল। 

মেসোপটেমিয়া, মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতা ইতিহাসে অনেক পরিচিত। তবে কৃষ্ণ সাগরের তীরে গড়ে ওঠা বুলগেরিয়ার প্রায় সাত হাজার বছরের প্রাচীন এই সভ্যতা খুব বেশি বিখ্যাত নয়। প্রাচীন বুলগেরিয়ায় গড়ে ওঠা সমৃদ্ধ ভার্না সংস্কৃতি সম্পর্কে ইতিহাসে খুব বেশি তথ্য ছিল না। সেখানেই স্বর্ণের কারুকার্যযুক্ত অলঙ্কার প্রথম তৈরি করার নিদর্শন পাওয়া যায়।  ভার্না বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের প্রাগৈতিহাসিক কালের বৃহত্তম সমাধিস্থলের জন্য পরিচিত। প্রাচীনকালে সেখানেই প্রথম কারুশিল্পজাত পণ্য তৈরি হত বলে জানা যায়। ইউরোপে প্রাচীন সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল ভার্নাতেই। বুলগেরিয়ার ভার্না থেকে প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে জানা যায়, এগুলো খ্রীষ্টপূর্ব ৪৬০০ অব্দ থেকে ৪২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্য সময়ের। 

এসময় সেখানে স্বর্ণের কারুকাজ করা শুরু হয়। প্রাচীন সভ্যতাগুলোর ইতিহাসে ভার্নাতেই প্রথম স্বর্ণের কারুকাজ শুরু হয়। প্রাচীন ভার্নার কারিগররা স্বর্ণ এবং তামার ধাতব বিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এটি বাণিজ্যের জন্যও অত্যন্ত মূল্যবান বস্তু ছিল।  ভার্নার সঙ্গে সে সময় কৃষ্ণসাগর এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশসমূহের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা সমাজ সভ্যতা বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us