শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে আপেল সিডার ভিনেগারে। হাজারো বছর ধরে এই ভিনেগার ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যা তৈরি হয় আপেলের রস থেকে, সঙ্গে ইস্ট মিশিয়ে আপেলের চিনিকে অ্যালকোহলে পরিণত করা হয়। এরপর ব্যাকটেরিয়া যোগ করে অ্যালকোহলকে বানানো হয় অ্যাসিটিক অ্যাসিড। আপেল সিডার ভিনেগারে থাকে অল্প ক্যালোরিসহ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম। শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও বিষাক্ত উপাদান দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার আদর্শ উপাদান। এছাড়াও ওজন কমাতে এবং পেটের চর্বি ঝরাতেও উপকারী, এমনটাই দাবি একাধিক গবেষণার।
এতে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিডই মূলত ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্যালোরি কম থাকে ১০০ গ্রাম আপেল সিডার ভিনিগারে থাকে মাত্র ২২ ক্যালোরি। সকালে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে বাড়বে বিপাকক্রিয়া। সেই সঙ্গে ঝরবে পেটের চর্বি। চর্বি জমতে বাধা দেয় আপেল সিডার ভিনেনিগারের মূল উপাদান হলো অ্যাসিটিক অ্যাসিড। যা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে।
জার্নাল অব ক্লিনিকেল নিউট্রিশন নামক এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, আপেল সিডার ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে। ফলে বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল সিডার ভিনেগার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কার্যকরী এবং স্বাস্থ্যকর ওজন হ্রাস নিশ্চিত করতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।