মানবতার ধর্ম ইসলাম বারবারই শত্রু-বন্ধু নির্বিশেষ সবার উপকারের শিক্ষা দেয়। নানাভাবে পরোপকার করা যেতে পারে। আমরা বিপদগ্রস্ত যেকোনো মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধারে সহযোগিতা করতে পারি, অসুস্থকে সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারি। এ ছাড়া নানাভাবে পরোপকার করা যায়। যদি তা ছোট ক্ষেত্রও হয়, সেটার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের কেউ অসুস্থ হলে তার খোঁজ-খবর নেওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। অসুস্থ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়ালে সাহায্যকারীর প্রতি আল্লাহ অনেক খুশি হন।
ইসলাম ধর্মে সব মানুষ তথা গোটা মানব সমাজের উপকার করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইসলাম ধর্ম মনে করে, ‘ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের পরেই সবচেয়ে বিজ্ঞচিত কাজ হচ্ছে মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের উপকার করা এবং অন্যের কল্যাণ কামনা করা। উপকারভোগী যে ধর্মেরই হোক।’
ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিতে ধার্মিকতা হচ্ছে বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। তবে এই ধার্মিকতা আরও বেশি সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে ওঠে যখন একজন ধার্মিক মানুষ পরোপকার করে এবং অন্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে। অনেকে নিজেকে পরোপকার থেকে দূরে রাখতে নানা অজুহাত দেখান। তারা বলেন, তাদেরতো ধন-সম্পদ নেই। কিন্তু অনেক ধন-সম্পদের মালিক হলেই কেবল পরোপকার করা যাবে- এ ধারণা একেবারেই অমূলক, এ ক্ষেত্রে ইচ্ছাটাই মূল বিষয়। প্রত্যেক মানুষই তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরোপকারী হতে পারে।