করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি আদেশে বন্ধ মৌলবীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। ফলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে নেই পর্যটকের ভিড়। যেখানে ঈদুল ফিতরে দিন থেকে ৪র্থ দিন পর্যন্ত হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নামতো সেখানে এবার করোনায় ব্যতিক্রম হয়েছে। কোনো পর্যটক ছিল না। এ বন পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। সংরক্ষিত এই বনে পর্যটকের উপস্থিতি শূন্য এবং বনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সড়ক ও রেলপথে গাড়ির শব্দ বন্ধ হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে উঠছে বন্যপ্রাণি।
উল্লুকের আওয়াজ, বানরের লাফালাফি, পাখির কিচিরমিচির শব্দে বনের স্বাভাবিকতা ও নতুন রূপে ফিরতে শুরু করেছে লাউয়াছড়া। সরেজমিন ঘুরে লাউয়াছড়া বনের নিরব নিস্তব্দ পরিবেশে গাছে গাছে লাফালাফি, খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণির বিচরণ ও বনের ভেতরে বসবাসরতদের সাথে কথা বলে এ চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকসহ বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণি, উদ্ভিদ ও বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। গত কয়েক দশকে প্রাকৃতিক বনের গভীরতা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। প্রাচীনতম গাছগাছালি চুরি হয়ে যাওয়া, মাগুরছড়ায় গ্যাসকূপ বিস্ফোরণ, বনের ভেতর দিয়ে উচ্চ শব্দে রেলপথে ট্রেন চলাচল, সড়কপথে যানবাহনের যাতায়াত, গাড়ির হর্ন, অত্যধিক দর্শনার্থীর বিচরণ, হই-হুল্লোড়, পার্শ্ববর্তী টিলাভূমিতে হোটেল, কটেজ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম সব মিলিয়ে অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে বন ও বন্যপ্রাণি।