রফতানি শ্লথ হয়ে কমে গেছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দাম। সংকটে পড়েছেন রফতানিমুখী এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত উৎপাদনকারী ও রফতানিকারকরা। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে দেশে দেশে চাহিদা ও আমদানি কমে যাওয়া এবং ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে বাজার হারিয়ে টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে দেশটির পাম অয়েল খাত।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোয় মালয়েশীয় পাম অয়েলের দাম বাড়ানো হতে পারে। পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম টনপ্রতি ২ হাজার ৪০০ রিঙ্গিত (মালয়েশীয় মুদ্রা) বা ৫৫১ ডলারের ওপরে উঠতে পারে। এমনটাই মনে করছেন মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) চেয়ারম্যান আহমেদ জাজলান ইয়াকুব।৩১ মে ফ্রি মালয়েশিয়া টু-ডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান চরম সংকটের মধ্যে সম্প্রতি এমপিওবির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আহমেদ জাজলান। দাফতরিক দায়িত্ব পালনের শুরুতেই তিনি এক বিবৃতিতে বাজার পরিস্থিতি পরিবর্তনের আশার কথা শুনিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাম অয়েলের বাজারে ক্ষীণ হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। চীন ধীরে ধীরে আমদানি বাড়াচ্ছে। ভারতের সঙ্গেও বিরোধ কমে আসছে। এ পরিস্থিতি ভারতের বাজার ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় পাম অয়েলের বাজার পরিস্থিতি করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের মতো না হলেও বর্তমানের তুলনায় কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
পাম অয়েলের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী মাসের দিকে মালয়েশীয় পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ২ হাজার ৩০০ রিঙ্গিত বা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ৫২৮ ডলার ৩৭ সেন্টের ওপরে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম টনপ্রতি ২ হাজার ৪০০ রিঙ্গিত বা ৫৫১ ডলার ৩৪ সেন্ট ছাড়াবে না। বর্তমানে মালয়েশিয়ার বাজারে প্রতি টন পাম অয়েল ২ হাজার ২৩০ ডলারের নিচে বিক্রি হচ্ছে।