কেন এবং কীভাবে বাংলাদেশি অভিবাসীদের গন্তব্য হয়ে উঠলো লিবিয়া?

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ১৭:৩৬

লিবিয়ায় মিজদা শহরে অপহরণকারীরা ২৬জন বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ত্রিপোলিতে শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, মানব পাচারকারীদের কাছ থেকে একদল বাংলাদেশি ও সুদানি নাগরিক অপহৃত হওয়ার পর তাদের হাতে একজন অপহরণকারী খুন হন। এর প্রতিশোধ নিতেই বৃহষ্পতিবার অপহরণকারীরা গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে।

এই ঘটনায় ১১ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। লিবিয়া হয়ে এরা সবাই ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশিরা মানব পাচারকারীদের সহায়তায় নানা দেশ ঘুরে লিবিয়া পৌঁছাচ্ছে, এবং সেখান থেকে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

সমুদ্রে নৌকা ডুবে বহুসংখ্যক বাংলাদেশির মৃত্যু হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ প্রবণতা বন্ধ হয়নি।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া কেন ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠলো - তা জানতে বিবিসি বাংলা কথা বলেছে বাংলাদেশে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর প্রধান তাসনিম সিদ্দিকীর সাথে।

তাসনিম সিদ্দিকী বলছিলেন, শুধু বাংলাদেশিদের কাছে নয়, এশিয়া ও আফ্রিকার আরো বহু দেশের অবৈধ অভিবাসীদের জন্য কীভাবে ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠলো লিবিয়া।

দু’‌‌হাজার সালের দিকে ইংল্যান্ডে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হলে তাদের অনেকেই স্পেন এবং ইতালি চলে যান।

অন্যদিকে, লিবিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর ২০০৮ সালের দিকে প্রচুর বাংলাদেশি লিবিয়ায় কাজের জন্য যেতে শুরু করেন বলে তাসনিম সিদ্দিকী জানান ।

তখনই ইতালিতে থাকা বাংলাদেশিরা তাদের আত্মীয়স্বজনদের সেখানে নিযে যেতে, অথবা টাকার বিনিময়ে ইউরোপে লোকজন নিয়ে যাবার জন্য কাজ করতে শুরু করেন।

এ সময়ই তারা লিবিয়াকে একটা রুট হিসেবে বেছে নেন।

মানব পাচারের রুট
এরা সুদান এবং আফ্রিকার নানা দেশ হয়ে প্রথমে লিবিয়ায় যান। তারপর লিবিয়া থেকে ডিঙি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি বা অন্য কোন ইউরোপীয় দেশে যেতে থাকেন।

প্রথমে এটা হয়তো ইতালিতে থাকা বাংলাদেশিদের আত্মীয়স্বজনকে ইউরোপে নিয়ে যাবার জন্য ব্যবহৃত হতো।

কিন্তু পরে এই রুটে মানবপাচারের সংগঠিত চক্র আত্মপ্রকাশ করে।

এই চক্রগুলোর সাথে সুদান, মিশর, এবং লিবিয়াসহ নানা দেশের লোক জড়িত।

প্রতিটি জায়গাতেই পাচারকারীদের এক চক্রের হাত থেকে অবৈধ অভিবাসীদের দলগুলোকে আরেক চক্রের হাতে তুলে দেয়া হয়।

এ মুহূর্তে বাংলাদেশিদের সবগুলো রুটই গেছে আফ্রিকার নানা দেশের মধ্যে দিয়ে।

বাংলাদেশের কিছু অসাধু জনশক্তি রিক্রটিং এজেন্সি আছে যারা সুদানে লোক পাঠাচ্ছে।

সুদানে তো গৃহযুদ্ধ চলছে, এখানে তো কাজ নেই। তার পরও সেখানে লোক যাচ্ছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে - এর আড়ালে একটা কিছু হচ্ছে।

ওই সুদান পর্যন্ত একটা বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়ে লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুদান থেকে তারা যাচ্ছে লিবিয়ার বেনগাজি। সুদান থেকে তারা ট্রাকে করে সীমান্ত পার হয়ে লিবিয়া ঢুকছেন। এ সীমান্ত পার হতে গিয়ে অনেকে মারাও গেছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us