শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম বাংলাদেশের এক ক্ষণজন্মা মহান ব্যক্তিত্ব। জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় জাতির চরম সঙ্কটময় মুহূর্তে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আগমন। এরপর রণাঙ্গনে যুদ্ধ পরিচালনা ও যুদ্ধ প্রশাসনের নীতিনির্ধারণে অসামান্য অবদান রেখে আপামর জনমানসে স্থান করে নেন এক মহানায়কের আসনে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ফলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্ট অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় সমাসীন হন এবং ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ পরিচালনা করেন। দেশের ইতিহাসে তার শাসনামল (১৯৭৫-১৯৮১) এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।
স্বল্প সময়ের শাসনামলে নানা সঙ্কটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির এক বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করে জিয়া ইতিহাসে নিজের অক্ষয় স্থান নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, সময়োপযোগী গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ^রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র অবস্থান ও গতিপথ নির্ধারণ এসব বহুমাত্রিক সাফল্যের কথা সুবিদিত এবং বহুল চর্চিতও। তবে আলোচ্য নিবন্ধের বিষয়বস্তু একটু ব্যতিক্রম। শহীদ জিয়া ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। এ দেশের গরিব মেহনতি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ছিল তার অন্যতম জীবন সাধনা।