দোকান–পাট তো আগেই খুলেছে। এবার ঢাকাসহ সারা দেশে পুরোদম গণপরিবহন চালুর অপেক্ষা। আগামীকাল রোববার থেকে ট্রেন ও লঞ্চের চলাচল শুরু হচ্ছে। আর সোমবার থেকে সড়ক পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ বিকেলে সড়ক পরিবহন ও লঞ্চ মালিক–শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বাস ও ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিকেল বানানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে (বিআরটিএ) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সোমবার থেকে নগর পরিবহন ও দূরপাল্লার বাসে ৫০ শততাংশ আসন ফাঁকা রাখা হবে। যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে বাসে উঠতে হবে। আর পরিবহন মালিকেরা চালক ও সহকারীদের মাস্ক সরবরাহ করবে। বাস ছাড়ার আগে জীবানুমুক্ত করতে হবে। আর এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে বিআরটিএ, পুলিশ ও মালিক–শ্রমিক সংগঠন। এ জন্য ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে তিনটি কমিটি গঠন করা হবে।
বাসে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখা হলে পরিবহন মালিকদের লোকসান গুণতে হবে এমন দাবি করে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তুলেন তারা। তবে বৈঠকে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে বিআরটিএর একটি স্থায়ী ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি আছে। আগামীকাল শনিবার ওই কমিটি বৈঠকে বসে ভাড়ার বিষয়ে আলোচনা করবে।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে একজেলা থেকে অন্য জেলায় চলাচল নিষেধ। এ অবস্থায় দূরপাল্লার বাস কীভাবে চলবে? এই বিষয়ে সবাই একমত হন যে দূরপাল্লার বাসগুলো পথে কোথাও যাত্রী তুলবে না। তবে কেউ নামতে চাইলে নামানো হবে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ও বিআরটিএর সহায়তায় তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হবে। তাই ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তাদের ছিল। আজ এই বিষয়ে বৈঠক হবে।