ভারতের রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার পর এবার মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। ঝাঁকে ঝাঁকে মরুভূমির এসব পঙ্গপালের হানায় পশ্চিম ও মধ্য ভারতজুড়ে ধ্বংস হচ্ছে বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত। দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানিয়েছে, তিন দশকের মধ্যে পঙ্গপালের সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ রোধে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের ৪৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে পঙ্গপালের আক্রমণ রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ ধরনের স্প্রে মেশিন ব্যবহার করে পঙ্গপালের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এসব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ১১টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার বিভিন্ন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। ড্রোন ব্যবহার করে কীটনাশক ছেটানোর জন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে ইতোমধ্যে।
কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিসার্চের পরিচালক ত্রিলোচন মহাপাত্র মঙ্গলবার বলেছিলেন, ছয়টি রাজ্যের প্রায় ৪২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি পঙ্গপালের হানায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তুলা, ডাল ও সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। আর ছয়টি রাজ্যের মধ্যে রাজস্থানের অবস্থা বেশি খারাপ।
পঙ্গপাল হলো মরুপতঙ্গের দল। এই পতঙ্গ ছোট শিংওয়ালা ঘাসফড়িং প্রজাতির। এই প্রজাতির অন্তত ১২ ধরনের পঙ্গপাল রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এক বর্গকিলোমিটার থেকে কয়েকশ’ বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে একেকটি পঙ্গপালের দল। একটি দলে থাকতে পারে চার কোটি থেকে আট কোটি পর্যন্ত পতঙ্গ। প্রতিদিন এরা ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ উড়তে পারে।