বন্দি জীবন থেকে মুক্তি না পেলেও মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীরা সবচেয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করছে। নির্জন, শান্ত এমন পরিবেশ এর আগে কোনো সময় পায়নি চিড়িয়াখানার প্রাণীরা। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস বন্ধ চিড়িয়াখানা। ফলে চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো কোলাহলহীন পরিবেশে ফিরে পেয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
সরেজমিনে চিড়িয়াখানা ঘুরে প্রাণীগুলোকে আগের তুলনায় আরও বেশি সতেজ ও প্রাণবন্ত দেখা যায়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২০ মার্চ থেকে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অন্য কার্যক্রম চালু রয়েছে। চিড়িয়াখানায় পশু-পাখিদের খাবার দেওয়া, সেবা-যত্ন-চিকিৎসা, ঘর পরিষ্কার এবং করোনা ভাইরাস থেকে প্রাণীদের রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা।
জনমানবশূন্য চিড়িয়াখানায় ইতোমধ্যে বাচ্চা জন্ম দিয়েছে জিরাফ। মা জিরাফ আর তার শাবক দুজনেই সুস্থ আছে, দুর্যোগের সময় জন্ম দিয়েছে বলে বাচ্চা জিরাফটির নামকরণ করা হয়েছে দুর্জয়। চিড়িয়াখানার উটপাখিও অনেক ডিম দিচ্ছে। বৃহৎ প্রাণী জলহস্তীও বাচ্চা দিয়েছে। অন্য আরও পশু বাচ্চা দেওয়ার অপেক্ষায় আছে।
জনমানবশূন্য চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীদের দৈনিন্দন জীবনে এখন নেই বিরক্তিকর হাঁকডাক। প্রাণীরা বন্দি থাকলেও কিছুটা হলেও বন্য পরিবেশের স্বাদ পাচ্ছে। ফলে বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, হাতি, জলহস্তী, কুমির এখন অনেকটাই আয়েশি জীবন কাটাচ্ছে। হরিণ রয়েছে চির প্রশান্তির জীবনে। ময়ূর তার পেখম মেলে প্রকৃতির শোভা বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত চিড়িয়াখানা।