সরকারের আভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের নামে নির্দিষ্ট মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটাতে খাদ্য গুদামে মজুদ রাখা হয় প্রতিবছর। চলতি বছর এই চাল দিতে তালিকাভুক্ত মিলারদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। আর মিলাররা তা করবেন মানসম্মত ধান কিনে তা থেকে চাল বের করে খাদ্যগুদামে জমা দিতে হবে।
এই অবস্থায় নিয়ম ভঙ্গ করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে খোদ খাদ্য কর্মকর্তাই সিন্ডিকেটের হোতা সেজেছেন। তিনি বরাদ্দ সম্পন্ন করতে নিম্নমানের চাল বাহির থেকে এনে গুদামে মজুদ রাখার চেষ্টা করে ফেঁসে গেছেন। ইউএনও’র হস্তক্ষেপে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। এ ধরনের ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের আঠারবাড়ি খাদ্যগুদামে।
আজ খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই খাদ্য কর্মকর্তাসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজধারী মামলার নির্দেশ দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন বিকেলে জনৈক আবদুল মতিন ওরফে মতি নামে এক ব্যক্তি একটি পাওয়ার ট্রলিতে করে চালের বস্তাগুলো ওই খাদ্যগুদামে পৌঁছান।