ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর আরেকদফা রাজশাহীর আম ঝরিয়ে দিল কালবৈশাখী। মঙ্গলবার রাতের এই ঝড়ে জেলার গোদাগাড়ী ও বাঘা উপজেলার প্রচুর আম ঝরে গেছে। এতে চাষিরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ঝড়-শিলাবৃষ্টির মাঝেই আম বড় হয়। ক্ষতি খুব একটা হবে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, রাতে তাদের আবহাওয়া অফিস এলাকায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ পাওয়া গেছে ঘণ্টায় ১৯ কিলোমিটার। তবে জেলার কোথাও বেশি বৃষ্টিপাত কিংবা বাতাসের গতিবেগ থাকলে তা রেকর্ড করার কোনো উপায় তাদের নেই।
শুধুমাত্র আবহাওয়া অফিসেই যেটুকু পাওয়া যায়- তা রেকর্ড হয়। কামাল উদ্দিন বলেন, কোথাও কোথাও ঝড়-বৃষ্টি আরও বেশি হয়েছে। আমার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। এখানে যে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে, তা আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডের চেয়েও বেশি মনে হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগেই গোদাগাড়ী এলাকায় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়।