করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার বৃহত্তর লাকসাম অঞ্চলে আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাতে মুসল্লিরা করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা ও বিশ্বব্যাপী তা নির্মূলে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করেন।
জানা যায়, বৃহত্তর লাকসাম অঞ্চলে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট) স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩/৪ দিন আগে থেকেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে চিঠি দিয়ে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের অনুরোধ করেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার তিন উপজেলার মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। শহর এলাকায় মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা হলেও কিছু কিছু গ্রামে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে নামাজ আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে ইমাম ও মসুল্লিরা করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এবং দেশ ও বিশ্ব পরিমণ্ডল থেকে মহামারি করোনাভাইরাস নির্মূলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করেন। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার ঈদের নামাজ শেষে একে অন্যের সাথে কোলাকুলির কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। ২০ বছরের তরুণ থেকে শুরু করে ৮০ বছর বছর বয়সী একাধিক মুসল্লির সাথে এবারের ঈদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা জানান, জীবনে এমন ঈদ দেখিনি। আনন্দের ঈদ করোনাভাইরাস নিরানন্দ নিয়েই হাজির হয়েছে। কেউ কারো বাড়ি-ঘরে যেতে পারছে না, কোলাকুলি করতে পারছে না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন পৃথিবীকে করোনাভাইরাসমুক্ত করেন, এটাই দোয়া করি।