ঝিনাইদহে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের দুদিন পরও জেলায় ৮০ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা শহরের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও উপজেলা ও গ্রামাঞ্চল অন্ধকারে রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোন। চার্জ দিতে না পারায় মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না।
নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা খাবার। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ২০০ পোল ভেঙে পড়েছে। পিডিবির ৩০টি পিলার ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও তার ছিঁড়ে সঞ্চালন লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমিন বলেন, গত বুধবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। শুক্রবার দুদিন পার হয়ে গেল বিদ্যুৎ অফিসের কোনো লোকজন খোঁজ নিতে এলেন না। আর ক’দিন লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তা তো বলা যাচ্ছে না।
শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অনেক স্থানে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। লাইন স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের লোক সংকট হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে দ্রুত লাইন মেরামত করার পরামর্শ তার। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জি এম ইসাহাক আলি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
আশা করি দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঝিনাইদহ শহর এবং কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। শৈলকুপা ও মহেশপুর শহরে চালু করা যায়নি, কাজ চলছে। (ঢাকাটাইমস/২২মে/কেএম)