এখনো আবেগগুলো বেঁচে আছে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২২ মে ২০২০, ১৮:৫৯

উফফ! টান টান উত্তেজনা। পনেরো দিন পর, আসছে! মে মাসের ১ তারিখ থেকে আমার নয় বছরের কন্যার হিসাব শুরু। আর প্রতিদিন জিজ্ঞেস করা, ‘মা আজকে কী?’ আমার মেয়ের বাংলা ভাষার অর্থ ওর মা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। ওর ‘আজকে কী’ মানে হচ্ছে আজ কী বার অথবা আজ কত তারিখ? খুব অদ্ভুতভাবে মেয়েটা আমার বাংলা বলে। যেমন বলে, ‘মা আমাকে পেনসিল বক্সটা নিতে পারবে?’ মানে হচ্ছে পেনসিল বক্সটা দিতে পারব কিনা? আর আপনি যদি বয়সে বড় হন, তবে বাংলায় আপনি ওকে যা জিজ্ঞেস করবেন, তার সবকিছুর উত্তর পাবেন, ‘জি’। যেমন, যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘সায়েরা খেয়েছ?’ ওর উত্তর হবে, ‘জি’, আবার যদি জিজ্ঞেস করেন তুমি এখনো খাওনি তাহলেও উত্তর হবে, ‘জি’। বাংলায়, হ্যাঁ-না, সবকিছুতেই তার উত্তর হচ্ছে ‘জি’।
তারপরও বাসায় বাধ্যতামূলক বাংলা বলতে হবে—এটাই নিয়ম। বন্ধুর সঙ্গে স্কুলে ইংরেজি বলতে সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বাংলায় বলতে হবে। অবশ্য কিছুদিন ধরে দেখছি, হাসি কিংবা মজা করেই কথোপকথন সারছে ও দাদা-দাদু , নানা বা নানুর সঙ্গে। বাংলা কম পারে বলে এই কৌশল!

তবে গত ১৫ দিন ধরে ওর অন্যরকম উত্তেজনা! ঘরে বন্দী বলে ভাব প্রকাশের জন্য মা ছাড়া কেউ নেই! উত্তেজনায় তাই আরও উল্টা-পাল্টা বাংলা বলা। উত্তেজনার সারমর্ম হচ্ছে নেটফ্লিক্সে , ‘শিরা’ সিরিজের সিজন ফাইভ আসছে ১৫ মে। আগের প্রতিটি সিজনের সব অ্যাপিসোড এত বার দেখেছে কখনো একা, কখনো মাকে নিয়ে, কখনো ওর পাপাকে নিয়ে। সব মুখস্থ। তাই নতুন সিজন নিয়ে সেই রকম উত্তেজনা। ট্রেইলার দেখে ফেলেছে শতবার। ডিজনির নতুন মুভি কি আসবে, কবে আসবে? কেমন হবে? কোনটা দেখতে যাবে? আগে থেকেই হিসেব রাখে সে। সেই অনুযায়ী বাবা-মায়ের কাছ থেকে ভালো কাজ করে, মুভি দেখার অনুমতি আদায় করে। তারপরও মাঝেমধ্যে ভাবি, কতটুকু বিনোদন পায় মেয়েটা? ছোটবেলার কতটা রঙিন স্মৃতি জড়ো হচ্ছে ওর ঝুলিতে?

মন খারাপ হয়ে যায়! আমার ভার্চুয়াল জগৎ সাদা-কালো থেকে রঙিন হতে দেখেছি। আমাদের বাসায় প্রথম টেলিভিশন ছিল ২০ ইঞ্চির সাদা-কালো টেলিভিশন। সেই সময় আমাদের এলাকায় আর কারও বাসায় টেলিভিশন ছিল না। তাই বিকেল থেকে টেলিভিশনটি বাড়ির উঠানে চালানো হতো, উঠান ভর্তি হয়ে যেত মানুষজনে। টেলিভিশনে কী দেখাচ্ছে, তার চেয়েও বড় কথা, টেলিভিশন দেখছেন তারা। আর ডিসেম্বরে পরীক্ষা শেষ মানেই ভাইয়া, দোকান থেকে ভিসিআর ও ক্যাসেট ভাড়া করে নিয়ে আসতেন। সারা রাত ধরে আমরা দেখতাম উত্তম-সুচিত্রা, প্রসেনজিৎ , কিংবা চাইনিজ কোনো মার্শাল আর্টে কেন্দ্রিক সিনেমা। উফ, সে জন্য কী প্রস্তুতি—চা, মুড়ি মাখানো। আর ঘর ভর্তি থাকত দর্শকে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us