ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা প্রণোদনা পাবেন: কৃষিমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০, ১৯:৪৬

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনতে কৃষকদের আগেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে আম্পানের প্রভাবে কৃষিতে ব্যাপকভিত্তিক ক্ষতি সাধিত হয়নি। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাজধানীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন থেকে মন্ত্রী প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কৃষির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অল্প কিছু কৃষিজ ফসলের বিশেষ করে ফলের মধ্যে আম, লিচু, কলা, সবজি, তিল এবং অল্প কিছু বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব নিরূপণের কাজ চলছে।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শাকসবজি ও মসলা চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন মৌসুমে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হবে। এছাড়াও, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ফল ও পান চাষিদের মাত্র চার শতাংশ সুদে কৃষি ঋণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

কৃষিমন্ত্রী জানান, ‘সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৬০-৭০ ভাগ আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন হচ্ছে— বোরো ধান ৪৭,০০২ হেক্টর শতকরা ১০ ভাগ, ভূট্টা ৩,২৮৪ হেক্টর শতকরা ৫ ভাগ, পাট ৩৪,১৩৯ হেক্টর শতকরা ৫ ভাগ, পান ২,৩৩৩ হেক্টর শতকরা ১৫ ভাগ, সবজি ৪১,৯৬৭ হেক্টর শতকরা ২৫ ভাগ, চিনাবাদাম ১,৫৭৫ হেক্টর শতকরা ২০ ভাগ, তিল ১১,৫০২ হেক্টর শতকরা ২০ ভাগ, আম ৭,৩৮৪ হেক্টর শতকরা ১০ ভাগ, লিচু ৪৭৩ হেক্টর শতকরা ৫ ভাগ, কলা ৬,৬০৪ হেক্টর শতকরা ১০ ভাগ, পেঁপে ১,২৯৭ হেক্টর শতকরা ৫০ ভাগ, মরিচ ৩,৩০৬ হেক্টর শতকরা ৩০ ভাগ, সয়াবিন ৬৪০ হেক্টর শতকরা ৫০ ভাগ, মুগডাল ৭,৯৭৩ হেক্টর শতকরা ৫০ ভাগ এবং ৬,৫২৮ হেক্টর জমির আউশ ধান আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us