সুপার সাইক্লোন আম্ফানে জলোচ্ছাসে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৬৩৫ চিংড়ি খামারের মাছ ভেসে গেছে। শরণখোলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/৩ পোল্ডারের ২শ মিটার রিংবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে শরণখোলা গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পানি কিছুটা নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে বুক পেতে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তীব্রতা কমিয়ে দিয়ে লোকালয়ের মানুষদের এবারো রক্ষা করা সুন্দরনের বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের প্রাথমিক হিসেবে ৮টি বন অফিসের টিনের চালা উড়ে গেছে ও সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে ৫টি জেটি। বনের জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনো পাওয়া যায়নি।
জেলায় কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। সামান্য ক্ষতি হয়েছে আউস ধানসহ গ্রীষ্মকালীন সবজির। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার ১ হাজার ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা প্রায় ৪ রাখ মানুষ তাদের নিজ-নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান, ঝড়ে জেলার ৪ হাজার ৬৩৫টি মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলায়। এতে জেলার কয়েক হাজার চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারিভাবে ক্ষতি ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তবে বেসরকারি হিসেবে এক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি বলে জানিয়েছেন চিংড়ি চাষীরা।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উদ জামান জানান, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/৩ পোল্ডারের ২শ মিটার রিংবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শরণখোলা গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে পানি কিছুটা নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।