খাবার এবং এক্সারসাইজের পর ঘুম সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ এবং সুস্থ হওয়ার যে পর্যায়গুলো আছে তারও গতি মন্থর হয়ে পড়ে। আমেরিকার মায়ো ক্লিনিকের মতে, আমরা যখন ঘুমাই তখন শরীর সাইটোকাইনেজ নামক এক ধরনের প্রোটিন নিঃসরণ করে, যা শরীরে যে কোনও ধরনের সংক্রমণ, প্রদাহ এবং মানসিক উদ্বেগের বিরুদ্ধে কাজ করে। বৈশ্বিক করোনার প্রভাবে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে।
যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে আমাদের প্রাত্যহিক কাজে, বিশ্রামে এবং সর্বোপরি আমাদের ঘুমে। কারও ঘুমের চক্র পুরোপুরি বদলে গেছে, আবার কেউবা মানসম্মত ও প্রয়োজনীয় ঘুম ঘুমাতে পারছেন না। এসময়ে এটা অস্বাভাবিকও না। তবে কয়েকটি করণীয় আপনাকে চাহিদামাফিক ঘুমে সহায়তা করবে। যতটা সম্ভব কম সংবাদ শুনুন সংবাদের বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি কোনও কিছুর সর্বশেষ তথ্য পাবেন, আপনার সে বিষয় সম্পর্কে এক ধরনের সচেতনতা তৈরি হবে, এটাই কাম্য। আবার কোনও কোনও সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একই সংবাদ আপনি বারবার ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে শুনতে বা দেখতে চাইবেন, তাও কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে সারাদিনের বেশ খানিকটা সময় আপনি একই সংবাদ বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুনছেন বা দেখছেন, তা এক ধরনের আসক্তি।