‘শুনতিছি ঝড় হবে। কালকে রাতি মাইকি প্রচার কুরে গেছে। নিরাপদ জাগায় যাতি বুলেছে। আজগে সকালে হাঁটতি হাঁটতি স্কুলির দিকি গেলাম। সিকেনে লোকজন বলাকওয়া কুরতেছে ঝড় খুব বড় হবে। কখন হবে তা ঠিক কতি পারতেছে না। ভয়, চিন্তা সবই হয় তবু ঝড় যতই আসুক বাড়িই থাকপো। সারা বছর যা খাইয়ে বাঁচপো সেই ধান, গোয়ালি তিনটে গরু আছে সব ফেলিয়ে কোন জায়গায় যাব?’ মোংলা বন্দরের কাছাকাছি সুন্দরবনসংলগ্ন ঢাংমারী গ্রামের বনমালী বীর কথাগুলো বলছিলেন।
৭৪ বছর বয়সী বনমালী এখনো বেশ কর্মঠ। কথা বলার সময় ছেলেকে নিয়ে দড়ি দিয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের প্লাস্টিকের ট্যাংকটি শক্ত করে বাঁধছিলেন। জানালেন, একটা এনজিও থেকে কিছু টাকা দিয়ে এটা পেয়েছেন। পানির সংকট বড় সংকট। তাই যত্ন বেশি করতে হয়। বনমালীর বাড়ি একেবারে ঢাংমারী নদীর কিনারায়। পড়েছে খুলনার দাকোপ উপজেলার মধ্যে। নদী পার হলেই সুন্দরবন। সম্প্রতি এলাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বেড়িবাঁধ হয়েছে।