করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক আবারো উত্তপ্ত। এরই ধাক্কা লেগেছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর। এদিকে রোববার (১৭ মে) চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েসহ অন্য প্রতিষ্ঠানকে অযৌক্তিক চাপ দেওয়া বন্ধ করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি হুয়াওয়েকে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ বন্ধে অন্য প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিতে নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। এমন ঘোষণার পরেই এই আহ্বান জানায় চীন। শুক্রবার (১৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ কর্তৃক আরোপিত নতুন বিধিনিষেধের আওতায় স্মার্টফোন ও টেলিকম সরঞ্জামের জন্য সেমিকন্ডাক্টর প্রয়োজন উল্লেখ করে। বিদেশি সংস্থাগুলিকে হুয়াওয়ের নির্দিষ্ট চিপস সরবরাহের আগে মার্কিন লাইসেন্স নিতে হবে এবং হুয়াওয়ের জন্য মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ বলছে, গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পরেও হুয়াওয়ে মার্কিন সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি চিপ ব্যবহার করেই যাচ্ছে। নীতিমালা পরিবর্তনের ফলে যেসব বিদেশি কোম্পানি যারা মার্কিন চিপনির্মাণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তারা হুয়াওয়েকে চিপ সরবরাহ করলে অনুমতি নিতে হবে।
শুক্রবার চীন গ্লোবাল টাইমস চীন সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে দেশটি ধারাবাহিক প্রতিরোধের অংশ হিসাবে অ্যাপল, বোয়িং, কোয়ালকম এবং সিসকোসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোও ‘অবিশ্বস্ত সত্তা তালিকায়’ রাখতে প্রস্তুত রয়েছে। গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়। জাপানে অনুষ্ঠিত ১৪তম জি টুয়েন্টি সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের ফলশ্রুতিতে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন ট্রাম্প।