পুরুষদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুস ক্যানসার। আর নারীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এই রোগ। ফুসফুসের টিস্যুগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত কোষবৃদ্ধির কারণে ফুসফুসের ক্যানসার হয়ে থাকে। প্রাথমিক ফুসুফুস ক্যানসারের অধিকাংশই ফুসফুসের কার্সিনোমা। যা ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষগুলিতে ধরা পড়ে। ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রেই যারা ধূমপান করেন তাদের এই রোগ হয়। আবার বায়ু দূষণ, অতিরিক্ত প্রেশার, পুষ্টির অভাব ইত্যাদি কারণেও ফুসফুস ক্যানসার হতে পারে। এছাড়াও ভাইরাল ইনফেকশন, মাইকোটক্সিন, টিউবারকুলসিস, ইমিউন ডিসফাঙ্কশন, এ্যান্ডোক্রাইন ডিজঅর্ডার এবং জেনেটিকাল কারণেও ফুসফুস ক্যানসার হতে পারে। তিন উপায়ে এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো- ধূমপান বন্ধ করুন এবং ফুসফুসের চেক-আপ করান ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া ধূমপান ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চেষ্টা করুন এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে। ধূমপান ছেড়ে দিলে আপনি ফুসফুসের সব রোগ থেকেই দূরে থাকবেন। ধূমপান ছাড়ার এক বছরের মধ্যে আপনি নিজের স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখতে পারবেন। তাছাড়া নিয়মিত ফুসফুস চেক-আপ করান। এতে কোনো সমস্যা থাকলে আগেই বুঝতে পারা যাবে। আর সঠিক সময়ে চিকিৎসাও নেয়া সম্ভব হবে। পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলুন ধূমপান না করেও আপনি পরোক্ষভাবে ধূমপান করছেন। জানেন কি, নিজে ধূমপান করার মতই মারাত্মক ক্ষতিকর পরোক্ষ ধূমপান। এটি আপনার ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গবেষকরা বলেন যে, পরোক্ষ ধূমপান আপনার জন্য ততটাই খারাপ যতটা নিজে ধূমপান করা। যদিও আপনি সিগারেট নিজের ঠোঁটে লাগাচ্ছেন না কিন্তু আপনি ধোঁয়া সেবন করছেন এবং এটা আপনার ফুসফুসের ক্ষতি করছে। সুতরাং ধূমপান করা মানুষদের থেকে দূরে থাকুন এবং এমন জায়গা যাওয়ার থেকে দূরে থাকুন যেখানে অনেক ধোঁয়ার উৎপন্ন হয়।
বাড়িতে রেডন গ্যাসের মাত্রা পরিক্ষা করুন রেডন একটি নির্গন্ধ গ্যাস। যা মাটির মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ক্ষয় হওয়ার কারণে উৎপন্ন হয়। যারা ধূমপান করেন না তাদের ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার একটি মুখ্য কারণ হচ্ছে রেডন গ্যাস। অক্সিজেনের সঙ্গে এই গ্যাস মিলিত হয়ে নিশ্বাসে প্রবেশ করে। যা আপনার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই বাড়িতে রেডন গ্যাসের মাত্রা পরিক্ষা করে প্রতিকার করুন।