ফেসবুকের বিভিন্ন সেবার সঙ্গে এখন গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাটের (জিআইএফ) ছবি ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে জিআইএফ তৈরি ও শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গিফিকে কিনে নিচ্ছে ফেসবুক। এ জন্য ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে ফেসবুককে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, গিফিকে কিনে এর বিশাল লাইব্রেরি ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের অন্য অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। জিআইএফ তৈরি, ভাগ করে নেওয়ার ও রিমিক্সিংয়ের সরঞ্জাম সরবরাহকারী গিফি ইন্টারনেটের বৃহত্তম জিআইএফ সাইটগুলির মধ্যে একটি। ফেসবুক দীর্ঘদিন ধরেই তাদের অ্যাপে জিআইএফ ব্যবহারে উৎসাহ দিতে গিফির এপিআইয়ের ওপর নির্ভরশীল। ফেসবুক অ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ইতিমধ্যে গিফির সঙ্গে যুক্ত। ফেসবুকেরে তথ্য অনুযায়ী, গিফির ৫০ শতাংশের বেশি ট্রাফিক তাদের অ্যাপ থেকে যায় আর ৫০ শতাংশ শুধু ইনস্টাগ্রাম থেকে যায়। ফেসবুক গিফিকে কিনে নেওয়ায় এর টিম ইনস্টাগ্রাম টিমের অধীনে চলে যাবে, যাতে ইনস্টাগ্রামে জিআইএফ ও স্টিকার ব্যবহার সহজ হয়। তবে গিফি ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পার্থক্য দেখতে পাবেন না বলে জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব প্রোডাক্ট বিশাল শাহ। তিনি বলেন, ব্যবহারকারী হিসেবে জিআইএফ আপলোড, গিফি এপিআই ব্যবহার ও কনটেন্ট তৈরি সুবিধা বজায় থাকবে। টুইটার, পিনটারেস্ট, স্ল্যাক, রেডডিট এবং আরও বেশ কিছু সাইট জিআইএফ সরবরাহের জন্য গিফির এপিআই পরিষেবার ওপর নির্ভর করে। ফেসবুক গিফি ব্যবহারের বিষয়টি উন্মুক্ত রাখার কথা বললেও সরাসরি ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে গিফির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।