গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে শতভাগ বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ ও পোশাক কারখানা ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (১২ মে) জেলার কয়েকটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্বচান্দরা এলাকায় মোয়াজ উদ্দিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা শতভাগ বেতনের দাবিতে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে মালিকপক্ষের লোকজন শ্রমিকদের ধাওয়া দেয় ও মারধর করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় কারখানার সিকিউরিটি রুম ও কম্পিউটারের সার্ভার স্টেশন ভাঙচুর করা হয়। পরে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালে যেসব কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করতে পারেননি; শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের ৬০ শতাংশ বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শ্রমিকরা শতভাগ বেতন ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। শ্রমিকদের অভিযোগ, লকডাউনে যারা কাজ করেছেন এবং যারা কাজ না করেননি সবাইকে একই পরিমাণে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। সারা মাস কাজ করা শ্রমিকদের শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও বৈষম্য থাকায় শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের মুখে মালিকপক্ষের লোকজন শ্রমিকদেও ওপর হামলা চালালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে ২০ শ্রমিক আহত হন। তবে, কারখানার প্রধান সমন্বয়ক মো. হুমায়ুন কবীর শ্রমিকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। এদিকে, শ্রীপুরে কালার ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ছাঁটাই বন্ধ ও শতভাগ বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন।