তাকে বলা হতো ‘প্রিন্স অব ত্রিনিদাদ’, আসলে ব্রায়ান লারা ছিলেন ২২ গজের রাজা। ব্যাট হাতে রাজত্ব করতেন প্রবল দাপটে, দুমড়ে-মুচড়ে দিতেন প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ আর মনোবল। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা কিছু ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে, হয়ে উঠেছেন রেকর্ডের বরপুত্র। ক্যারিয়ারের সেই রত্নভাণ্ডার থেকে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি নিজেই খুঁজে নিয়েছেন পছন্দের ১০ মণি-মুক্তা। জীবনের পথচলায় লারা পূর্ণ করলেন আরেকটি বছর। সর্বকালের অন্যতম সেরা ও বিনোদনদায়ী ব্যাটসম্যানের ৫১তম জন্মদিন শনিবার। মহাতারকার জন্মদিনে তার ক্যারিয়ারে একবার ফিরে তাকানোই যায়। আর সেটি যদি হয় তার নিজের চোখে, তাহলে তো দারুণ মুখরোচক ব্যাপার!
মহাকাব্যিক সব ইনিংসের রচয়িতা তিনি। জন্ম দিয়েছেন অসংখ্য নাটকীয়তার। সেরা কিছু মুহূর্ত বাছাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়। উইজডেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তবু লারা বেছে নিয়েছেন সেরা দশ। অনেকেই যেটিকে মনে করেন টেস্ট ইতিহাসের সেরা ইনিংম, ১৯৯৯ সালে বারবাডোজের সেই ১৫৩ রানের অসাধারণ ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি বিস্ময়করভাবে নেই তার নিজের সেরা দশে।
সোবার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ
(স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল টুর্নামেন্ট, ১৯৮৬)
স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল টুর্নামেন্টে ফাতিমা কলেজের হয়ে খেলছিলাম আমি। ৭-৮ নম্বরে ব্যাট করতে হতো আমাকে, কারণ দলটি ছিল দারুণ। কোনো এক শুক্রবার বিকেলে প্রতিপক্ষের এক বোলার হ্যাটট্রিক করায় আমি আগেভাগে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেলাম। দুর্দান্ত একটি সেঞ্চুরি করে ফেললাম! ১৪ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছি। তখনই বুঝে গেলাম, ক্রিকেটে আমার ভবিষ্যৎ আছে!
বছর দুয়েক পরে (১৯৮৬ সালে) স্কুল টুর্নামেন্টেই বারবাডোজে স্যার গ্যারি সোবার্সের সঙ্গে দেখা হলো। কিছুক্ষণ কথাও হলো। আমার খেলা ভালো লাগে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। উঠতি একজন ক্রিকেটারের জন্য সেটা ছিল বড় অনুপ্রেরণা! আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সেটি।