২৯ এপ্রিলের ভয়াল স্মৃতি ভুলেননি উপকূলবাসী

ইত্তেফাক প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২০, ০৫:৫২

‘শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে গুমোট পরিবেশে বাতাসসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। খবর পেয়েছিলাম পাশের গ্রামে মেঝ মেয়েটি সন্তানসহ অসুস্থ। কাঁচা রাস্তা, তার উপর বৃষ্টি হওয়ায় তাদের দেখতে যেতে পারিনি। এখনকার মতো মোবাইল যোগাযোগ ছিল না বলে আর খবরও নিতে পারিনি তাদের কি অবস্থা? অপেক্ষায় ছিলাম বৃষ্টিটা থামলে মেয়ের বাসায় গিয়ে নাতি ও তার সেবা করব। কিন্তু সোমবার (২৯ এপ্রিল) জলোচ্ছ্বাসের পর বৃষ্টি থামলেও চারপাশ ছিল লণ্ডভণ্ড। প্রায় ২০ ফিট উঁচুই বয়ে যাওয়া জলোচ্ছ্বাসে অন্য উপকূলবাসীর মতো আমার মেয়ে ও নাতিরা তাদের দাদিসহ ভেসে গিয়ে প্রাণ হারায়। তাদের মরদেহটি পর্যন্ত আর দেখা হয়নি। ২৯ বছরে এলাকার অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। জীবন সায়াহ্নে এসে মৃত্যুর প্রহর গুনছি। এখন চারপাশে করোনা নামে একটি ভাইরাসের ভয়ে সব কিছু স্তব্ধ। এরপরও মেয়ে এবং নাতি ও তাদের পরিবারের সবাইকে হারানোর স্মৃতি আমায় পিছু ছাড়েনি। আজ (২৯ এপ্রিল) তাদের কথা বেশি মনে পড়ছে।’ কক্সবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় পোকখালীর উত্তর গোমাতলীর বাড়িতে বসে ভয়াল ২৯ এপ্রিলের রাতে স্বজন হারানোর সেই স্মৃতি আওড়াতে গিয়ে বুধবার আবেগ তাড়িত হন নুর জাহান বেগম (৬৭)। তিনি সে দিন পাশের গ্রাম কাটাখালীতে বিয়ে দেয়া মেয়ে-নাতিসহ সবাইকে হারিয়েছিলেন। শুধু তিনি নন, উপকূলের শত শত মানুষ তার মতো আপনজনকে হারিয়ে এখনো স্মৃতি হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। প্রায় আড়াই যুগ সময় পিছনে ফেলে এসেছেন জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত মানুষ। কিন্তু হারানোর বেদনা তাদের কখনো নিস্তার দেয়নি। উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজকের দিনে ভারাক্রান্ত মনে কেউ মিলাদ পড়িয়ে, কেউ বা বিলাপে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা চালাবেন। ১৯৯১ সালের এ দিনে স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চলসহ উপকূলীয় এলাকা তছনছ করে মহা ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছিল। রাতের অন্ধকারে মুহূর্তে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল উপকূলীয় এলাকা। দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে প্রত্যক্ষ করেছিল প্রকৃতির এই রুদ্ধরোষ। এর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের এতবড় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি উপকুলের মানুষ আর কখনো হয়নি। তাই ১৯৯১ সালের পর থেকে ২৯ এপ্রিল আসলে স্বজন হারা মানুষের কান্নায় এখনও ভারি হয় উপকূলের পরিবেশ। সেদিন জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে অকালে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মৃতি উপকূলবাসীকে এখনো তাড়ায়। বেদনা অশ্রু ভারাক্রান্ত হন তারা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us