যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিট থেকে হ্যান্ডকাপসহ সুজন ওরফে শাকিল (২৫) নামে এক হাজতি পালিয়ে গেছেন। রোববার রাত দশটার দিকে ওয়ার্ডের একটি জানালা ভেঙে পালিয়ে যান তিনি। পলাতক সুজন যশোর কোতয়ালি থানার একটি কিশোরী অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর কাজীপাড়া মল্লিকবাড়ির রণজিৎকুমার মল্লিকের ছেলে। গত কয়েকবছর ধরে যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা হাসান মুহুরির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক।যশোর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলম জানান, সুজন গত ৪ এপ্রিল পুরাতন কসবার বাসিন্দা এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্কুলপড়ুয়া অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেলে মেয়েটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজনের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালী থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তাকে ১০ এপ্রিল গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু সুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে কারাগার থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে রোববার রাতে জানালা ভেঙে হ্যান্ডকাপসহ সুজন পালিয়ে যান।