৪৯ হাজার ১৮টি কনটেইনার ধারণক্ষমতা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে। এর বিপরীতে বুধবার (১ এপ্রিল) সকালে কনটেইনার ছিলো ৪৪ হাজার ৯২৬টি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ঘরে থাকা কর্মসূচির কারণে বেশিরভাগ শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় কনটেইনার ডেলিভারি কমে যাওয়ায় জটের সৃষ্টি হচ্ছে বন্দরে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বলেন, আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ডেলিভারি নিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন বিশেষ করে চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের ইয়ার্ডে, টার্মিনালে যেখানে যেখানে খালি জায়গা আছে সেগুলো দ্রুত অপারেশনাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওভার ফ্লো ইয়ার্ডে কিছু কনটেইনার রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঘরে থাকা কর্মসূচি চলছে। বেশিরভাগ শিল্পকারখানা বিশেষ করে পোশাক ও নিট কারখানাগুলো বন্ধ। একে একে বাতিল বা স্থগিত হচ্ছে তৈরি পোশাকের অর্ডার। এ অবস্থায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বন্দর থেকে কারখানার কাঁচামাল ডেলিভারি কমে গেছে। রফতানিও কমছে। সব মিলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বন্দরের পাশাপাশি কনটেইনার জট কমাতে হিমশিম খাচ্ছে বেসরকারি আইসিডি বা অফডকগুলো। সূত্র জানায়, বুধবার ১৮টি অফডকে কনটেইনার ছিলো ৬১ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫১০টি খালি কনটেইনার। রফতানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ছিলো ৯ হাজার ৮৫০টি। বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ১ হাজার ৯০৫ টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার)। আগের দিন এটি ছিলো ১ হাজার ৭০৮ টিইইউ’স। বন্দরে মোট জাহাজ রয়েছে ৭৮টি। এর মধ্যে বহির্নোঙরে ৫২টি জাহাজে খোলাপণ্য খালাস হচ্ছে। অপেক্ষমাণ ছিলো ৬টি কনটেইনারবাহী জাহাজসহ ২৬টি। এ ছাড়া মেইন জেটিতে ৮টি কনটেইনারবাহী জাহাজে লোড-আনলোড হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দেশের সাপ্লাই চেন স্বাভাবিক রাখতে ২৪ ঘণ্টা অপারেশনাল কার্যক্রম চালু রেখেছে।