ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। মৃত রিপা দাস রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার রামকল গ্রামের মিঠুন সরকারের স্ত্রী ও ফরিদপুরের টেপাখোলা এলাকার অনিল কুমার দাসের মেয়ে। তিনি রামকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। মৃতের বোন জামাই ধীরাজ কুমার জানান, রিপা আড়াই মসের গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু রক্তক্ষরণ হওয়ায় রোববার দুপুরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিজার করাতে বলেন। তিনি আরো জানান, রোববার সন্ধ্যায় রিপাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ কানিজ ফাতেমা তার সিজার করান। সকালে সেখান থেকে তাকে বের করে বেডে দেয়া হয়। এ সময় রিপার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। হাসপাতালের নার্সদের জানালেও অক্সিজেন ব্যবস্থা করতে পারেননি। প্রায় এক ঘণ্টা পর অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হয়। কিন্তু এর আগেই রিপা মারা যান। ডা. কানিজ ফাতেমা জানান, সিজারের পর রোগীর অবস্থা ভালো ছিল। তবে সকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটায় তিনি মারা গেছেন। তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছেন না অনেক রোগী। শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার ব্যবসায়ী দিলদাল হোসেন জানান, রোববার তিনি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা টিকেট কেটে বসে থাকেন। কিন্তু চর্মবিষয়ক কোনো চিকিৎসককে দেখাতে পারেননি। হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, চিকিৎসকরা সরকারি নির্দেশনা মেনে রোগী দেখছেন। এখানে এসে চিকিৎসা পাননি এমন কোনো অভিযোগ কেউ দেননি।