জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত যেকোনো সেবা নিতে গেলে আইনে নির্ধারিত ফি দিতে হয় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এই ফি নেওয়া হয় স্মার্টকার্ডের জন্য। অথচ এর বিপরীতে সংস্থাটি সেবাগ্রহীতার কাছে সরবরাহ করছে লেমিনেটিং করা কাগজের এনআইডি। প্রথমবার ভোটার করে নেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের বিনামূল্যে এনআইডি সরবরাহ করে। সেটার মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া ১৫ বছর। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে পুনরায় এনআইডি নেওয়ার জন্য একটা ফি নির্ধারিত আছে। এছাড়া সংশোধন, হারানো কার্ড উত্তোলন, ঠিকানা পরিবর্তনের জন্যও ফি দিতে হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র আইনে বলা আছে, প্রথমবার নবায়নের জন্য সাধারণ (এক মাস) আবেদনের জন্য ফি ১০০ টাকা আর জরুরি (সাতদিন) হলে ১৫০ টাকা, হারানো বা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন এনআইডি পেতে সাধারণ আবেদনের জন্য প্রথমবার ২০০ টাকা, জরুরি হলে ৩০০ টাকা; আর এসবে দ্বিতীয়বার সাধারণ আবেদনের জন্য ৩০০ টাকা, জরুরি হলে ৫০০ টাকা; এছাড়া তৃতীয়বার থেকে পরবর্তী যে কোনোবার সাধারণ আবেদনের জন্য ৫০০ টাকা, জরুরি হলে এক হাজার টাকা নির্বাচন কমিশন সচিবের অনুকূলে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এছাড়া এনআইডিতে প্রদর্শিত তথ্য সংশোধনের জন্য প্রথমবার আবেদনের জন্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা, তৃতীয়বার থেকে পরবর্তীতে যে কোনোবারের জন্য ৪০০ টাকা ইসির অনুকূলে ব্যাংকে জমা দিতে হয়। অন্যদিকে, ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্য (যা এনআইডিতে অপ্রদর্শিত থাকে) সংশোধনের জন্য প্রথমবার আবেদন ১০০ টাকা, দ্বিতীয়বার আবেদনে ২০০ টাকা এবং পরবর্তীতে যে কোনোবারের জন্য ৩০০ টাকা ইসি সচিবের অনুকূলে ব্যাংকে জমা দিতে হয়। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অর্থ নেওয়া হয় স্মার্টকার্ড সরবরাহ করার জন্য। কিন্তু স্মার্টকার্ড অপর্যাপ্ত হওয়ায় লেমিনেটিং করা কাগজের কার্ডই দেওয়া হচ্ছে।