এই দিনে উড়েছিল মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের পতাকা

ইত্তেফাক প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২০, ০৪:৫৬

২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। সবুজ, লাল, সোনালি—এই তিন রঙের পতাকাটি সেই যে বাংলার আকাশে উড়েছিল তা আর নামাতে পারেনি পাকিস্তানের সুসজ্জিত সেনাবাহিনী ও সরকার। ‘জয় বাংলা’, ‘পিন্ডি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’— মার্চে বাংলার আকাশ বাতাস স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল। দিকে দিকে শুরু হয় পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো। আর এই সময়টাকেই ছাত্রনেতারা বেছে নিলেন বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনকে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিপূর্ণভাবে রূপান্তর করার মোক্ষম মুহূর্ত হিসেবে। এই দিনটিই পরবর্তীকালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর পতাকা উত্তোলন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। কোনো রকম প্রস্তুতি ছিল না। কে পাশে এসে দাঁড়াবে, কে দেবে সহযোগিতা—কিছুই জানতো না বাংলার খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ। পাকিস্তানের সুশিক্ষিত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়তে হলে যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, ছিল না তার কোনো কিছুই। তারপরও অপমান, বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়তে সমস্ত কিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করে বাংলার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, চাকরিজীবী সবাই যুদ্ধে নামতে এককথায় প্রস্তুত হয়েছিল। কারণ, ২৩ বছর ধরে পাকিস্তানিদের অন্যায় নিষ্পেশন থেকে মুক্ত হতে জনযুদ্ধের যে কোনো বিকল্প নেই সেটা পুরোপুরি উপলব্ধি করেছিল এই ভূখণ্ডের বাসিন্দারা। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে গোপনে একটি স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ গঠন করেছিলেন এই ছাত্র সংগঠনের মূল নেতারা। এই কাজটি তারা করেছিলেন ১৯৬৯ সালে, ১১ দফা আন্দোলন চলার সময়। এই বিপ্লবী পরিষদের সদস্যদের ভাবনায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশা ছিল। ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ পাকিস্তানিদের বিশ্বাসঘাতক চেহারা আবারও উন্মোচিত হয় বাংলার মানুষের সামনে। এর প্রতিবাদে ছাত্রনেতারাও তার জবাব দেবার সিদ্ধান্ত নেয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us