মধ্যরাতে বাসায় কলবেল বেজে ওঠে। পরিবারের সবাই তখন আতঙ্কিত। দরজা খোলেন ব্যবসায়ী মেহেদী শেখ। দরজার সামনে দাঁড়ানো পুলিশের দুই দারোগা। তাঁরা জানালেন, পাওনা ৫০ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য তাঁকে ধানমন্ডি থানায় যেতে হবে। মেহেদী শেখ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখতে চান। তা না দেখিয়ে জোর করে তাঁকে গুলশানের কালা চাঁদপুরের বাসা থেকে নেওয়া হয় ধানমন্ডি থানায়। সেখানে একটি কক্ষে রাতভর আটকে রাখা হয় মেহেদীকে। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে জানানো হয়, বাসা থেকে চেক বই এবং ট্রেড লাইসেন্সের মূল কপি আনতে হবে। আটক ব্যবসায়ীর দুই স্বজন এগুলো নিয়ে থানায় হাজির হন। একটি চেকে ৬৫ লাখ, আরেকটি চেকে ৬০ লাখ টাকা লিখে সই করতে বাধ্য করা হয় মেহেদীকে।