কথায় আছে না সকাল দেখে অনুমান করা যায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু সে প্রবাদটা যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের বেলায় খুব কমই খাটে। নাহয় গতকাল রাওয়ালাপিন্ডিতে এমন সুন্দর সকালের পর বিকেলটা কেন এমন বিবর্ণ হয়ে যাবে। সুন্দর সকালের পর দিন শেষে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে ইনিংস হারের সামনে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনো ৮৬ রান দরকার বাংলাদেশের। অথচ নেই ৬টি উইকেট। যদিও উইকেটে আছেন অধিনায়ক মোমিনুল হক আর লিটন দাশ। এখন এ দুজন যদি ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে দলকে বাঁচাতে পারে সেটাই হবে বড় প্রাপ্তি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিক পাকিস্তান। শান মাসুদ এবং বাবর আজমের সেঞ্চুরির উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত সবক’টি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করেছিল ৪৪৫ রান। আর তাতেই প্রথম ইনিংসে ২১২ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট ১২৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দিন শেষে উইকেটে আছেন অধিনায়ক মোমিনুল হক ৩৭ রান নিয়ে। আর তার সঙ্গী লিটন দাস রানের খাতা খুলতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দল পিছিয়ে আছে ৮৬ রান আর হাতে আছে ৪ উইকেট। তাই বলা চলে ইনিংস পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছে টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা বেশ ভালই করেছিল দুই টাইগার ওপেনার। তামিম ইকবাল এবং সাইফ হাসান। কিন্তু প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা সাইফ দ্বিতীয় ইনিংসে নামের পাশে যোগ করেন মাত্র ১৬ রান। আর উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৩৯ রান। পেসার নাসিম শাহ’র বলে সাইফ ফিরলে ভাঙ্গে এ জুটি। সাইফ ফিরলেও নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। চার বিরতি পর্যন্ত বেশ ভাল ভাবেই পাকিস্তানের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এ দুজন। কিন্তু চা-বিরতির পর আর পারলেননা তামিম। প্রথম ইনিংসের ন্যায় এ ইনিংসেও পারলেননা দলকে টেনে নিয়ে যেতে। অথচ ট্রিপল সেঞ্চুরি করেই পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তামিম। চা বিরতির পরপরই ইয়াসির শাহর বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম ইকবাল। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।