দিনাজপুরে অবস্থিত হিলি স্থলবন্দর আজ বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত। এই বন্দর ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নাই। পদে পদে হয়রানি ও ভোগান্তি। বিশেষ করিয়া এই বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াইয়া থাকিতে হয়। এইখানে কোনো আধুনিক স্ক্যানিং মেশিন নাই। ফলে ভারতে যাওয়ার সময় এবং ভারত হইতে ফিরিয়া আসিবার সময় যাত্রীদের লাগেজের সম্পূর্ণ মালামাল বাহির করিয়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তল্লাশি করা হয়। ইহাতে সময় লাগে বেশি। যেইখানে আমরা বলিতেছি—দেশ ডিজিটাল হইতেছে, তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিকায়নের দিক হইতে আগাইয়া যাইতেছে, সেইখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরে কেন পূর্ণাঙ্গভাবে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগিবে না? শুধু তাহাই নহে, এইখানকার ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসে যাত্রীদের জন্য কোনো প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ নাই। নাই টয়লেট ও বিশ্রামাগার। ভ্রমণ ফি জমা দেওয়ার জন্য নাই কোনো বুথের ব্যবস্থাও। ফলে এইখানকার সেবার মান খুবই নিম্নমানের। দীর্ঘসময় লাগিবার পাশাপাশি স্ত্রী-সন্তান নিয়া ভয়াবহ অসুবিধা ও বিড়ম্বনার শিকার হইতে হয় তাহাদের।