বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন অনেকেই। এমনকি ১৬/১৭ বছর বয়সের মানুষেরও উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ছে। সাধারণত হার্ট সংকোচনের সময় রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং হার্ট প্রসারণের সময় চাপ কিছুটা কমতে থাকে। আবার পরবর্তী সংকোচনের সময় বৃদ্ধি পায়। এজন্য রক্তচাপকে দুটি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন- ১৩০/৮০ (মি.মি. পারদ)। তার মানে হার্ট সংকোচনের সময় ১৩০ ও প্রসারণের সময় ৮০ মি.মি. রক্তচাপ। যদি কারও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রার রক্তচাপ থাকে তবে এ অবস্থাকে উচ্চরক্তচাপ (হাই ব্লাডপ্রেসার) বলা হয়। আবার কারও এর চেয়ে কম রক্তচাপ থাকে তবে এ অবস্থাকে নিম্ন রক্তচাপ (লো ব্লাডপ্রেসার) বলা হয়ে থাকে। অনেকের ওষুধ খাওয়ার পরেও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না । এ ক্ষেত্রে ওষুধের চেয়েও বেশি কাজে দেয় লাইফস্টাইল পরিবর্তন। জীবনযাপনে খুব ছোট ছোট বদল এনে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিজের শরীর-মন। নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হালকা থেকে ভারী শরীরচর্চা করুন। ব্রিস্ক ওয়াক, মানে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটলে, সাইক্লিং করলে অথবা সাঁতার করলে শরীর চনমনে থাকে। সাধারণতও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলুন চিকিৎসকের মতে, অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার ব্লাডপ্রেসার। ২২ পাউন্ড ঝরালে ১ মিলিমিটার/পারদ ব্লাডপ্রেসার কমে যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের কোমরের মাপ যদি ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি হয়, এবং প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার কোমরের মাপ যদি ৩৫ ইঞ্চির বেশি হয়, অবিলম্বে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যকর ডায়েটে থাকুন বাজার থেকে যখন জিনিস কিনবেন, প্যাকেটের গায়ে থাকা উপদান কী অনুপাতে রয়েছে দেখে নিন। অবশ্যই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, শাক সবজি, ফল, পানি প্রচুর পরিমাণে খান। কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন খাওয়া বাড়ান। ডায়েট থেকে বাদ দিন লবণ খাবার পাতে কাঁচা লবণ খাবেন না। রান্নায় যথাসম্ভব লবণ কমিয়ে দিন। বাইরের খাবার বর্জন করুন।