বয়ঃসন্ধিকালের সময়টা নিয়ে কালের পরিক্রমায় বিভিন্ন সময়ে অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন। কিন্তু এ যুগের বাচ্চারা যেন বড্ড বেশি ম্যাচিউরড। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেমেয়েকে দেখলে মনে হয় যেন সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার নতুন করে নামকরণ করতে হবে ‘চৌদ্দ বছর বয়স’। চারটি বছর এগিয়ে এসেছে এদের ম্যাচিরিউটির ক্ষেত্র। এরা এ বয়সেই স্কুল পালায়, অনলাইন প্রেম করে, চ্যাট করে, ধূমপানের মতো নেশার ভুবনে প্রবেশের দুঃসাহস দেখায়, মোবাইল দেখতে না দিলে মা-বাবার দিকে উদ্ধত ভঙ্গিতে তেড়ে আসে। প্রশ্ন জাগে, মানুষ কতটা খারাপ হলে এ কোমলমতি বাচ্চাদের হাতে কলমের মধ্যে ধূমপানের উপকরণ ঢুকিয়ে দেয় (ভেপ), তা-ও আবার বিভিন্ন ফ্লেভার দিয়ে। আর লেখাপড়া? সেটা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জিনিস তাদের কাছে।