টেলিনরের সাবসিডিয়ারি গ্রামীন ফোনের কাছে বিভিন্ন কর বাবদ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের আদালতও সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে টেলিনর।
যেহেতু সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের বিনিয়োগ চুক্তি আছে এবং টেলিনর এশিয়া সিঙ্গাপুরে রেজিস্ট্রিকৃত কোম্পানি সেজন্য এই টাকার নিষ্পত্তি বাংলাদেশের ফোরামে হবে না। এ ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিশ্বব্যাংক স্বীকৃত একটি ফোরাম রয়েছে যারা নাম - ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস বা সংক্ষেপে বলা হয় ইকসিড। যখন কোন বিদেশী বিনিয়োগকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের মতভেদ হয় তখন এই ফোরামে সেগুলোর নিষ্পত্তি হয়। এই ইকসিড ফোরামের সদরদপ্তর ওয়াশিংটনে।
বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর উভয় দেশ এই ফোরামের সদস্য।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ যদি কারো সাথে চুক্তি করে তাহলে সেটি করতে হয় রাষ্ট্রপতির নামে।
"স্টেট লেভেলে যখন কোন লিগ্যাল অ্যাকশন শুরু হবে তখন সেটা প্রেসিডেন্টকেই প্রতিপক্ষ করা হয়," বলছিলেন মি: আলম।
এই লিগ্যাল নোটিশে একটি সময় নির্ধারণ করে দেয়া আছে। সে সময়ের মধ্যে যদি টেলিনর এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে তারা বিষয়টিকে ইকসিড ফোরামে নিয়ে যাবে। আইনজীবী তানজিবুল আলম বলছেন, সরকার ইচ্ছে করলে এই ইকসিড ফোরামে অংশ নাও দিতে পারে। যেহেতু একটি দেশের সরকার সার্বভৌম, সেজন্য অন্য কোন ফোরাম সরকারকে কোন কিছু করতে বাধ্য করতে পারেনা।
বাংলাদেশ সরকার যদি ইকসিড ফোরামে অংশ না নেয় তাহলে ইকসিড তাদের নিয়ম অনুসরণ করে অভিযোগটি নিষ্পত্তি করতে পারবে। আর যদি সরকার অংশ নেয় তাহলে ইকসিড উভয়পক্ষকে শুনে একটি সিদ্ধান্ত দেবে।