যে কোনো দেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বুদ্ধিজীবীরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে সূচনা থেকেই বাঙলার বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন সোচ্চার। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয়-দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সর্বোপরি অসহযোগ ও তৎপরবর্তী স্বাধীনতা সংগ্রামে তারা ছিলেন মূলধারার রাজনীতি তথা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানকৃত আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে সচেতনভাবে সম্পৃক্ত। এ ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার। দেশ বিভাগের পর পরই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন রাষ্ট্রীয় ভাষার…