You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভ্রাম্যমাণ হকার সিন্ডিকেট

ভ্রাম্যমাণ হকার নিয়ে কারবার তাদের। রাজধানীর বিভিন্নস্থানে গড়ে উঠেছে এমন প্রায় ৫০০ চক্র। সোমবার বিকাল ৪ টা। ঢাকার বেইলী রোডে তিরিশ বছর বয়সী এক বাদাম বিক্রেতাকে মারধর করছে দুই যুবক। তার অপরাধ অনুমতি না নিয়ে ওই সড়কে বাদাম বিক্রি করছিলেন। কারণ ওই সড়কে যে ক’জন বাদাম বিক্রি করে তাদের নামের সঙ্গে ওই বাদাম বিক্রেতার নাম নেই!  এখানে যারা বাদাম বিক্রি করে তারা ওই চক্রটিকে মাসোহারা দিয়ে থাকে।শুধু বেইলী রোডে নয়, পুরো ঢাকা শহরে ছড়িয়ে রয়েছে এমন চক্র। ওই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে নিরীহ ভ্রাম্যমাণ হকারদের কাছে প্রত্যেক মাসে মাসোহারা নিয়ে তা লুটে নিচ্ছে। পরিবারের ভরণ পোষণের স্বার্থে ভ্রাম্যমাণ হকাররা অপরাধী চক্রের সদস্যদের কিছু বলতে পারেন না।  এ বিষয়ে কেউ মুখ খুললে চক্রের সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ হকারদের ব্যবসা বন্ধ  ও মারধর করে। ওই চক্রকে দমনে মাঠে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফার্মগেট এলাকায় সাইফুল হকার, উত্তরা এলাকায় সুমন, ধানমন্ডি এলাকায় আজিজ, যাত্রাবাড়ী এলাকায় শামসুল, নিউমার্কেট এলাকায় মাসুদ, হাইকোর্ট এলাকায় সোহাগ, বাড্ডা এলাকায় শরিফুল হকার প্রধান লাইনম্যান হিসাবে কাজ করে। তারা কেউ কেউ পানি, কেউ আচার, কেউ বড় রুমালের ব্যবসা করে। এইসব লাইনম্যানকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা আবার ঢাকার অপরাধ জগতের বাসিন্দা।এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, চক্রটিকে দমন করতে পুলিশ সক্রিয়। কয়েকজন ভ্রামমাণ হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সড়কের পাশে বসে ব্যবসা করেন না। সড়কে গাড়িগুলো জ্যামে আটকা পড়লে তারা গাড়ির যাত্রীদের কাছে বাদাম, রুমাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে। শহরের ছোট সড়ক গুলোতে নয়, বড় বড় সড়কে তারা ভ্রামমাণ হকার হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। ওই সড়কগুলো হকার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যেকটি সড়ক নিয়ন্ত্রণ করে একেকটি চক্র। কারা কারা তাদের নিয়ন্ত্রিত সড়কে ব্যবসা করতে পারবেন, তাদের নাম ও ঠিকানা তাদের কাছে রয়েছে। এছাড়াও যারা বিক্রি করেন তারাও অন্যদের ওই সড়কে বিক্রি  করতে দেখলে সিন্ডিকেটের সদস্যদের খবর দেন। এতে নিরীহ ভ্রাম্যমাণ হকাররা চাইলেও ওই সড়কে ব্যবসা করতে পারেন না। প্রত্যেক ভ্রাম্যমাণ হকার ওই চক্রের সদস্যদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেন। টাকা না দিলে ওই সড়কে তারা ব্যবসা করতে পারেন না। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় এমন প্রায় ৫০০ চক্র গড়ে উঠেছে। যারা ঢাকা শহরের বড় বড় সড়কে তাদের ভ্রাম্যমাণ হকারদের নামিয়ে লুটে নিচ্ছে কোটি  কোটি টাকা। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, মহাখালী, বনানী, শাহবাগ, হাইকোর্ট, গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি, সাইন্স ল্যাবরেটরী ও নিউমার্কেট এলাকায় গড়ে উঠেছে ওই চক্রটি। সূত্র জানায়, কোন ভ্রাম্যমাণ হকার সড়কে ব্যবসা করতে হলে সিন্ডিকেটের সদস্যদের জানাতে হয়। এসময় তাকে ব্যবসা করার জন্য অগ্রিম ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এটা বার্ষিক চাঁদা। বছর ঘুরে এলে আবার তাকে ওই টাকা দিতে হবে। নইলে ওই সড়কে আর ব্যবসা করতে পারবেন না। সূত্র জানায়, যারা ভ্রাম্যমাণ হকার তাদের মধ্যে একজন প্রধান লাইনম্যান রয়েছে। হকাররা তাদের ‘গুরু’ নামে ডাকে। তিনিই মূলত অপরাধী চক্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। ওই লাইনম্যান প্রত্যেকদিন ভ্রাম্যমাণ হকারদের কাছে টাকা তুলে অপরাধী চক্রের কাছে পৌঁছে দেয়। এছাড়াও ওই লাইনে কোন নতুন হকার ঢুকলো কী-না তা নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। সূত্র জানায়, ভ্রাম্যমাণ হকারদের কাছে যারা চাঁদাবাজি করে তারা এলাকার উঠতি সস্ত্রাসী, নামধারী রাজনৈতিক দলের নেতা ও শীর্ষ সস্ত্রাসীর নাম ব্যবহারকারী। দিন পেরিয়ে রাত আসলেই তাদের চোখ খুলে যায়। তাদের কাছে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র। ওই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিরীহ ভ্রাম্যমাণ হকারদের কাছ থেকে তারা নিয়মিত অর্থ নেয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন