ভারতের জাতীয় নির্বাচন ও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোর অধিবাসীদের ভোট দেওয়ার প্রবণতায় যে মিল নেই তা কিছুদিন ধরেই স্পষ্ট। গত দু’বছর সময়ে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের মতো কিছু রাজ্যের ভোটাররা বিধানসভা আর লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। সেই বিবেচনা থেকে দেখলে, গত সপ্তাহের পশ্চিমবঙ্গের তিনটি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্দান্ত জয়কে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা উচিত নয়। কথাটা আরও যুক্তিসংগত এজন্য যে, উপনির্বাচন প্রায়শই ভিন্নরকম বা অপ্রত্যাশিত ফল উপস্থাপন করে, বৃহত্তর পরিসরে যার পুনরাবৃত্তি হয় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এসপি-বিএসপি মহাগঠবন্ধনের কথা। দল দুটির ওই জোট বাধার ঘটনা ২০১৮ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে তাদের সাফল্য এনে দিয়েছিল। ওই ঘটনায় বিরোধীদের অনেকের মনে এই বিশ্বাস জন্মায় যে, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির শাসনের অবমাননাকর বিদায় ঘনিয়ে আসছে। পরে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন তাদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে।