সাত বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে সৌদি সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখে৷ এর জন্য মূলত ঐ দেশের একটা চক্র, অন্যান্য দেশ যারা লোক পাঠাতে চায় তাদের রাজনীতি ইত্যাদি দায়ী৷ নারী শ্রমিকের যাওয়াটা কিন্তু তখনও উন্মুক্ত ছিল এবং তারা যাচ্ছিলও৷ ...সেসময় শ্রীলঙ্কা অনেক বেশি নারী শ্রমিক প্রেরণ করত৷ তার আগে করত ফিলিপাইন্স৷ কিন্তু ফিলিপাইন্সের নারী শ্রমিকরা যাওয়া শুরু করে দিলো উন্নত বিশ্বে৷ প্রশিক্ষিত কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশায় তারা এমনকি সৌদি আরবেও যেতে শুরু করল৷ কিন্তু গৃহকর্মী হিসেবে তাদের যাওয়া কমে গেল৷ তারপর শ্রীলঙ্কা নারীদেরে চেয়ে পুরুষদের যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি উৎসাহ দিলো৷ আমরা পুরুষদের যে বাজারটা হারিয়েছি সেটা শ্রীলঙ্কা নিয়ে নিলো৷
আমাদের যারা রিক্রুটিং এজেন্সি, যারা পুরুষ শ্রমিক পাঠাতে চান এবং যারা শ্রম অভিবাসনের সাথে যুক্ত কর্মকর্তা, তারাই তখন এই সমঝোতাটা করে যে, আমরা নারী শ্রমিক পাঠাবো যদি আমাদের পুরুষ শ্রমিক তোমরা নেও৷ তারাও রাজি হয়৷ শর্ত বেঁধে দেয়ার বদলে আমি বলব আমরাই এটা প্রস্তাব করেছিলাম সেসময়৷